তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর : মণিরামপুরে ছাগলে ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই গ্রুপের পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন,ওই গ্রামের মৃত খোরশেদ আলী মোড়লের ছেলে মুনসুর আলী (৫৫) ও গোলাম সরোয়ার (৪২), মুনসুর আলীর চাচা হাতেম আলীর ছেলে সেলিম হোসেন (৩৫) এবং মকবুল হোসেনের দুই ছেলে আব্দুর রহিম (২৭) ও তরিকুল ইসলাম (২৪)। আহতদের মধ্যে প্রথম তিন জনকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বাকি দুই জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আব্দুর রহিমের অবস্থা গুরুত্বর বলে জানা গেছে।
মুনসুর আলী স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা এবং মেসার্স একতা ইটভাটার মালিক। এই ঘটনায় তিনি থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রেজাউল করিম ও আহত মুনসুর আলী জানান, বুধবার বিকেলে এনায়েতপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের মরিচের ক্ষেতে মুনসুর আলীর বাড়ির ছাগল যায়। মুনসুর আলীর বাড়ির পাশে মরিচের ক্ষেতটির অবস্থান। ছাগলে ফসল খেয়েছে এই অভিযোগে মকবুলের ছেলে তরিকুল ছাগল ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাতে বাঁধা দেন সেলিম। সেলিমের বাঁধা না মেনে তরিকুল একটি ছাগল ধরে বাড়িতে নিয়ে যান। ওই সময় তরিকুল সেলিমকে মারধর করে। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ ক্ষেতে কাজ করতে আসেন তরিকুল। ওই সময় মুনসুর আলী সেখানে গিয়ে তার কাছে বিষয়টি জানতে চান। পরে দু’জনে বাকবিতন্ডে জড়িয়ে পড়েন। এদিকে গোলমাল শুনে সরোয়ার ও সেলিম এগিয়ে যান। খবর পেয়ে সেখানে আসেন মকবুল ও তার আরেক ছেলে আব্দুর রহিম। একপর্যায়ে মকবুল,তরিকুল ও আব্দুর রহিম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে মুনসুর ও তার দুই ভাই সরোয়ার এবং সেলিমকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্বজনরা তাদের মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে,জানতে চাইলে মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ হোসেন বলেন,‘তার পিতা ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। মুনসুরের লোকজন ক্ষেতে একা পেয়ে আব্দুর রহিম ও তরিকুলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে আহত করেছেন। তরিকুল ও আব্দুর রহিম যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে রহিমের অবস্থা গুরুত্বর বলে দাবি করেন সবুজ।
তবে মুনসুরের লোকজনের দাবি,হামলাকারীদের কাউকে তারা মারধর করেননি। ঘটনা ভিন্ন দিকে নিতে তারা যশোর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মণিরামপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার রাজিব পাল বলেন,‘হাসপাতালে ভর্তি তিন জনের মাথায় আঘাত লেগেছে। তারা এখন শঙ্কামুক্ত।’